দলীয় পতাকা ছেঁড়ার প্রতিবাদে রাজ‍্য সড়কে অবরোধ বিজেপির

10th February 2021 1:20 pm বাঁকুড়া
দলীয় পতাকা ছেঁড়ার প্রতিবাদে রাজ‍্য সড়কে অবরোধ বিজেপির


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : বিজেপির অভিযোগ গতকাল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সোনামুখী জুনসরাতে ভারতীয় জনতা পার্টির দলীয় পতাকা লাগানো হয়  ২১ এর বিধানসভা ভোটের জন্য এরপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকার সমস্ত ভারতীয় জনতা পার্টির দলীয় পতাকা খুলে আগুন লাগিয়ে দেয় আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেননি ।

বিজেপি বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তপশিলি মোর্চার সভাপতি দিবাকর ঘরামি বলেন গতকাল দুপুরে দলীয় পতাকা পুরানো হয়েছে আমরা রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেননি যে কারণে আমরা এই পথ অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি । আমাদের দাবি যারা এই কাজ করেছে তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে । না হলে আগামীতে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো । এরই পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন সমগ্র সোনামুখী অচল করে দেবো তৃণমূল কি ভেবেছে এই পতাকা পুড়িয়ে বিজেপিকে রুখবে সম্ভব নয় কারণ পশ্চিমবাংলার মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির সমর্থন করছে পশ্চিমবাংলার মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টির পাশে আছে তাই এই নির্লজ্জ তৃণমূল যাদের কোন লজ্জা শরম নেই ২০১৯ এ গণতন্ত্রের থাপ্পর মেরেছে এই এলাকার জনগণ তারপরেও এই নির্লজ্জ তৃণমূল ও সন্ত্রাসের পথ অবলম্বন করছে ।

সমগ্র বিষয়ে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা ধানশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ইউসুফ মন্ডল বলেন সারা পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে দিদির উন্নয়ন হয়েছে উন্নয়ন দেখে মানুষ উৎসাহিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা পোড়ানোর কোন দরকার নেই দিদির উন্নয়ন আমাদের যথেষ্ট তবে নতুন বিজেপি ও পুরনো বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে ওরাই নতুন-পুরনো মধ্যে কেউ পতাকা পুড়িয়েছে সেটা তৃণমূলের নামে বদনাম দিচ্ছে এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।